১০ বিদায়ী শিক্ষককে সম্মাননা জানালো
শহীদ মেজর সালাহউদ্দিন স্কুলের
প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা
ফেনী প্রতিনিধি
প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত
১০ জন বিদায়ী শিক্ষককে সম্মাননা জানালো শহীদ মেজর সালাহউদ্দিন বীর উত্তম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা অপরিসীম।মিলছে হাজারো প্রাণ, গুরু তোমায় হাজারো সালাম’ শ্লোগান নিয়ে শুক্রবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গন মেতেছে প্রাণের মেলায়। বিদায়ী শিক্ষক রুহুল আমিন ভূঞা, স্বপন কুমার নাথ, গোলাম মাওলা খোন্দকার, ননী গোপাল পাল, রৌশন আরা বেগম, ননী গোপাল বৈদ্য ও ওবায়দুল হকের হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। প্রয়াত এয়ার আহমদ, মৌলভী ছায়েদুল হক, নুরুল আমিন মজুমদার শাহাজাহানের পরিবারের সদস্যের হাতে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া শহীদ মেজর সালাহ উদ্দিন বীর উত্তমের পরিবারকেও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলোয়াতের পর প্রিয় শিক্ষকদের পরিয়ে দেওয়া হয় উত্তরীয়, হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট ও মানপত্র। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল কবির। বিদ্যালয়ের ৮৭ ব্যাচের ছাত্র ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ (মানবপাচার অপরাধ ট্রাইব্যুনাল) কাজী আবদুল হান্নান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের সদস্য সচিব ইয়াছিন আরাফাত রাজুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ৯২ ব্যাচের শিক্ষার্থী হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ, ৯৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন সাকা, একই ব্যাচের শিক্ষার্থী যমুনা ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন, প্রাক্তণ শিক্ষার্থী পরিষদের আহবায়ক ৯৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন রুপম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি তৌহিদ রেজানুর মাসুদ ও প্রধান শিক্ষক শামীম আক্তার। বিদায়ী শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন ৯৫ ব্যাচের আজম খান।অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টার কথা জানান সংবর্ধিত বিদায়ী প্রাক্তণ প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন ভূঞা, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার নাথ, সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম মাওলা খোন্দকার, সিনিয়র শিক্ষক ননী গোপাল পাল, রৌশন আরা বেগম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিক্ষকেরা শুধু শেখাননি, ভালো মানুষ হতে অনুপ্রাণিত করেছেন। শিক্ষকদের সামাজিক সম্মান নিশ্চিত না করলে মননশীল ও রুচিশীল সমাজ গড়া সম্ভব হবে না।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন ২০০১ ব্যাচের লাভলী আক্তার ও ২০০৬ ব্যাচের সাজ্জাদুল আলম। প্রাক্তণ ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।