সাহসীকতার জন্য ডিএমপি’র শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ পুরস্কার পেলেন মাজহারুল ইসলাম
August 16, 2020
মাদারীপুরের কৃতি সন্তান মাদারীপুরের গর্ব বাংলাদেশ পুলিশের চৌকস পুলিশ অফিসার ঢাকা মেট্রোপলিটন যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার)
দীর্ঘদিন সুনামের সহিত পুলিশ ডির্পাটমেন্টে দায়িত্ব পালন করে আসিতেছেন।
কোভিড-১৯ করোনা সারাবিশ্বে এক আতঙ্কের নাম বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই মরণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরণ লড়াই করে ও কোনো কূলকিনারা খুঁজে পায় নি।গত ৮ মার্চ ২০২০ইং বাংলাদেশে প্রথম এ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলে। তারপর দিনের পর দিন করোনা রোগির সংখ্যা বেডে যায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলকারখানা বন্ধ হয়ে যায়,দিশেহারা হয়ে পড়ে অসংখ্য কর্মহীন মানুষ।ঠিক তখনি সক্রিয় হয়ে উঠে কিছু কুচক্রমহল ও মাদক ব্যবসায়ীরা। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কলা কৌশলে তারা মাদকের রমরমা ব্যবসা পরিচালনা করে ।ঠিক তখনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষনা করে তারই ধারবাহিকতায় মাদক নির্মুলে দুরসাহসিকতার মধ্যে দিয়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফ্রন্ট লাইনে থেকে মাদকের নির্মুলে কাজ করে গিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের চৌকস পুলিশ অফিসার,ঢাকা মেট্রোপলিটন যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার) মাদক নির্মুলে প্রতি নিয়ত সক্রিয় দায়িত্ব পালন করেছেন ।তারই ধারাবাহিকতায় যাত্রাবাড়ী থানায় এরিয়া মাদকের রমরমা ব্যবসা শূন্যর কোটায় প্রায় নেমে এসেছে।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার) তিনি সুধু মাদক নির্মল করে থেমে থাকেন নি।তার পদচারনায় ছিলো পুরো যাত্রাবাডি থানাধীন প্রতিটি এলাকা, পাড়া,মহল্লায় জনসচেতনতার পাশাপাশি আত্মমানবতার সেবায় তিনি ছিলেন অবিচল সবার আগে সব খানে।তাইতো
মানুষ মানুষের জন্যে’জীবন জীবনের জন্যে’ একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ।তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে
জাতির করোনা কালীন দুর্যোগ মহুত্ব্য সরকারী সহায়তার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে ও অসংখ্য অসহায় হতদরিদ্র মানুষ কে সাহায্যের হাত বাডিয়ে দিয়েছেন মানবতার অগ্রদুত হয়ে আবির্ভুত হয়ে ছিলেন,ওসি মাজহারুল ইসলাম।
তার উদাহারন সরুপ বলা যায়’গত ৩১ মার্চ যাত্রাবাড়ীর সুতিরখালপাড়ের এলাকায় এক ভদ্রমহিলা ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর সাহায্যের আবেদন করে আকুতি মিনতি করেন, লেখেন, “আমার স্বামী নেই, তিনটি ছোট ছোট সন্তান নিয়ে’না খেয়ে পড়ে আছি আমাকে দেখার কি কেউ নাই ।
যাহা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেটা ওসি মাজহারুল ইসলামের নজরে আসে,আর তা নজরে আসার সাথে সাথে মানবতার ফেরিয়ালার মতোই ঐদিনে ৩১ মার্চ, ২০২০ রাত ২টায় ওসি মাজহারুল ইসলাম ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১০কেজি চাল, ৫কেজি আলু, ১কেজি ডাল, ১লিটার তেল নিয়ে ওই বাসায় ছুটে চলে যান সেখানে।গিয়ে দেখেন ছোট্ট একটি রুমে তিন সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন ঐ ভদ্রমহিলা ।কান্না ভরা মুখে ভদ্রমহিলা বলেন’আপনি সত্যি মহান,তা নাহলে এই হতভাগা মানুষটির সামান্য ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেখে কেউ কি ছুটে আসে ।আপনাদের মতো পুলিশ অফিসার আছে বলে এখন ও মানুষ পুলিশের উপর সাধারন মানুষ আস্থা বিশ্বাস রাখে আল্লাহপাক আপনাকে ভালো রাখুক ।
এমন হাজারো মহত কাজের উদাহারন আছে সততা ও ন্যায়ের প্রতীক ওসি মাজহারুল ইসলামের ।
তাইতো গত বছরের ন্যায় এই বছর ও তিনি’
তিন (৩)ক্যাটাকরি’তে চতুর্থ বারের মতো ডিএমপির শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ, নির্বাচিত হোন তিনি ।শ্রেষ্ঠ মাদকদ্রব্য উদ্বারকারী,শ্রেষ্ঠ ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার (তিন ক্যাটাকরীতেই শ্রেষ্ঠ) হিসাবে স্বীকৃতি স্বরুপ সম্মাননা পান ওসি মাজহারুল ইসলাম।তিনি আরো বলেন এই সম্মানী আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া আমি মনে করি এই সম্মানী আমাকে অদূর ভবিষ্যতে অনেক বেশি অনুপ্রানিত করবে । এই সম্মাননার চেক টি তুলে দেন ডিএমপির মাননীয় পুলিশ কমিশনার, জনাব মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিপিএম(বার) পাশে ছিলেন মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম,কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ও ওয়ারী থানার ডিসি মহোদয়গণ সহ পুলিশের আরো উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সর্বোপরি তিনি এই সম্মানিতে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন,বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব বাংলাদেশ পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার),ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার),মনিরুল ইসলাম স্যার ওয়ারী থানার ডিসি মহোদয় সহ সকল সিনিয়র অফিসারবৃন্দদের ।
তিনি আরো জানান’আল্লাহপাক আমাকে যতদিন এই মহান পেশায় নিয়োজিত রাখবেন বাঁচিয়ে আমি ততোদিন অসহায় নিপিডিত মানুষের পাশে থাকবো তাদের আইনি সহায়তা নিয়ে আমার দরজা সবার জন্য খোলা থাকবে ২৪ ঘন্টা আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।