prothombd247
Monday , 17 August 2020 | [bangla_date]
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. খাদ্য
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চিত্র বিচিত্র
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন
  12. প্রবাস
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. ব্যবসা
  15. ভ্রমণ
 

শিশুর করোনা হওয়া কতটা শঙ্কার এবং ঝুঁকি কমানোর উপায়

শিশুর করোনা হওয়া কতটা শঙ্কার এবং ঝুঁকি কমানোর উপায়
August 17, 2020

বিবিসি:শি

শুদের থেকে বড়দের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি খুব বেশি না বলেও জানান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

  1. সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারিতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা তুলনামূলক কম। যদিও এই মহামারিতে এ পর্যন্ত সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। আর আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ১৪ লাখের বেশি মানুষ।
    এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-ইউসিএল এবং লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন শিশুদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা এবং তাদের মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া নিয়ে পরিচালিত পুরো বিশ্বের ৬৩৩২টি গবেষণা মূল্যায়ন করে দেখেছে।
    এসব গবেষণা মূল্যায়নের পর এই দুটি প্রতিষ্ঠান যে তথ্য দিয়েছে তা হলো, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে প্রাপ্তবয়স্ক কোন ব্যক্তির তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৫৬% কম।
    এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও মারাত্মক অসুস্থ হওয়া বা মারা যাওয়ার ঝুঁকি শিশুদের কম থাকে।
    বাংলাদেশে শিশুদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে কিনা সেটি বোঝাটাই অনেক কঠিন বলে মনে করেন শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হেলেনা বেগম।
    তিনি বলেন, “অনেক পরিবারের মানুষেরা বুঝতেই পারে না যে তাদের বাচ্চা কোভিড আক্রান্ত কিনা। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের কোন উপসর্গ থাকে না।”
    “যাদের জ্বর নাই, কাশি নাই, ছোট বাচ্চা হলে তো বলতেই পারে না যে গলাব্যথা হয়েছে, সে কারণে বোঝাটাই কঠিন।”
    ডা. হেলেনা বেগম বলেন, বাংলাদেশে শিশুরা যেসব রোগে আক্রান্ত হয় তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ। আর এর উপসর্গ হচ্ছে নাক দিয়ে পানি পরা, কাশি দেয়া, ঘড়-ঘড় করে শব্দ করা, কোন কোন ক্ষেত্রে গলাব্যথা অথবা কানে ব্যথা।
    তার মতে, করোনার উপসর্গগুলোও অনেকটা একই রকম। সে কারণে সাধারণ সর্দি-কাশি নাকি শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ নাকি করোনা তা বোঝা যায় না। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা খুবই কম। আর তাই এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
    শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হেলেনা বেগম বলেন, যেসব পরিবারের করোনা সংক্রমণ হয়েছে, কিংবা করোনা রোগীর সংস্পর্শে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিংবা যেসব শিশুর বাবা-মায়েদের বাধ্য হয়ে বাইরে যেতে হয়, সেসব শিশুর মধ্যে কোন ধরণের উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে পরীক্ষা করাতে হবে। সেই সাথে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে তাদেরকে আলাদা করে ফেলতে হবে।
    সেক্ষেত্রে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, শিশুদের থেকে করোনা ভাইরাস অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি কতটা থাকে। কারণ পরিবারে শিশুদের সাথে অন্য সদস্যদের মেলা-মেশায় সাধারণত কোন বিধি-নিষেধ থাকে না। বিশেষ করে পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের সাথে তাদের মেলামেশার পরিমাণ অনেকে শিশুরা কতটা সহজেই করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে সে বিষয়ে তেমন কোন পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায় না।
    এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-ইউসিএল এবং লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন যে তথ্য দেয় তাতে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ৩১টি ক্লাস্টারের উপর চালানো এক গবেষণায় দেখা যায় যে, মাত্র তিনটি ক্লাস্টারে সংক্রমণ শিশুদের থেকে হয়েছে। অর্থাৎ শিশুদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর হার ১০%।
    গবেষকরা মনে করেন, যেহেতু শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার তুলনামূলক কম তাই তাদের থেকে অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও তুলনামূলক কম।
    অনেকটা একই তথ্য দিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তাহমিনা শিরিনও।
    তিনি বলেন, “শিশুদের মধ্যে যদি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উপসর্গগুলো বেশি থাকে তাহলে ঝুঁকিও বেশি থাকে। আর উপসর্গ মৃদু বা উপসর্গহীন হলে সেক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রাটা কমে যায়।”
    “যাদের মধ্যে জ্বর এবং কাশি থাকবে তাদের থেকে সংক্রমণের মাত্রাটা বেশি থাকবে।”
    ভাইরোলজিস্ট তাহমিনা শিরিন বলেন, পরিবারে যদি কোন শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। তবে এক্ষেত্রে বাবা-মা বা যারা সেবা দিয়ে থাকেন তাদের মধ্যে বেশি থাকে।
    এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বে-নজীর আহমেদ বলেন, কোভিড আক্রান্ত শিশুদের থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি কতটা তা দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে।
    প্রথমটি হচ্ছে, শিশুর হাঁচি-কাশির মতো উপসর্গ বেশি থাকলে তার থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি থাকবে। আর উপসর্গ মৃদু থাকলে বা কম থাকলে ঝুঁকি কিছুটা কম থাকবে। কারণ এতে ড্রপলেটস নির্গত হওয়ার বিষয়টি জড়িত থাকে।
    দ্বিতীয়টি হচ্ছে, কন্টাক্ট টাইম বা সংস্পর্শে আসার সময় কতটা। অর্থাৎ তার মতে, যদি কোভিড আক্রান্ত কোন শিশু দীর্ঘ সময় ধরে বয়স্ক কারো সংস্পর্শে থাকে তাহলে ঝুঁকির মাত্রাটা এমনিতেই বেড়ে যাবে।
    তবে সব মিলিয়ে শিশুদের থেকে বড়দের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি খুব বেশি না বলেও জানান জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বে-নজীর আহমেদ। শিশুদের থেকে বয়স্কদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হলে কিছু পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, শিশু বিশেষজ্ঞ এবং ভাইরোলজিস্টরা। এর মধ্যে রয়েছে- শিশুরা যেহেতু সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়ে খুব বেশি কিছু বোঝে না তাই পরিবারের অন্য সদস্য বিশেষ করে যারা বয়স্ক এবং যাদের অন্য কোন স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদেরকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। প্রয়োজনে দরজা বন্ধ রাখতে হবে যাতে শিশুরা কাছে আসতে না পারে।বাইরে থেকে এসে সরাসরি শিশুদের সংস্পর্শে না যাওয়া
    বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেহেতু বন্ধ তাই শিশুদের বাইরে যাওয়ার মাত্রাও কম। তাই সেক্ষেত্রে তাদেরকে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক সদস্য যারা বাইরে যান তাদের থেকে শিশুদের দূরে রাখতে হবে। সম্পূর্ণভাবে ভাইরাস মুক্ত না হয়ে বা বাইরে থেকে এসে শিশুদের সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না।আক্রান্ত শিশুদের হাসপাতালে আইসোলেশন করা
    শিশুরা কোভিড আক্রান্ত হলে প্রয়োজনে তাদেরকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে আলাদা ইউনিট বা ব্যবস্থা করা যেতে পারে যেখানে শুধু শিশুদেরই আইসোলেশনে রাখা হবে। এক্ষেত্রে সব শিশুদের মধ্যে উপসর্গ থাকবে বলে তারা নিজেরা নিজেদের জন্য ঝুঁকি হিসেবে আবির্ভূত হবে না।পরিবারের অন্য সদস্যদের মাস্ক পরা যেহেতু শিশুদের সব সময় মাস্ক পরিয়ে রাখা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে পরিবারের অন্য সদস্যদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া অন্য স্বাস্থ্যবিধিগুলো কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে বয়স্কদের আলাদা করে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে।শিশুদের সচেতন করা শিশু বিশেষজ্ঞ ডা হেলেনা বেগম মনে করেন, কোভিড সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে হলে শিশুদের মধ্যেও সচেতনতার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং বুঝিয়ে বলতে হবে।
    তিনি বলেন, এক্ষেত্রে যেসব পরিবারে কোভিড রোগী রয়েছে সেসব পরিবারের বাচ্চাদের কিছু কিছু অভ্যাস মিনার কার্টুনের মতো বুঝিয়ে বলার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেমন, শরীরের কোথায় কোথায় হাত দেয়া যাবে না, কোন কিছু যেন তেন ভাবে ফেলে রাখা যাবে না, কোথায় যাওয়া যাবে না।
    “সেই সাথে শিশুদেরকে বুঝিয়ে বলতে হবে যে কী কী খাবার বেশি খেতে হবে।কোন কোন কাজগুলো বেশি বেশি করতে হবে।”

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

ভালুকায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ফেনীতে রাজঝীর দিঘির পাড়ে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা সমিতি

দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির জন্য আমাদেরকে কারিগরি শিক্ষার উপর বেশী জোর দিতে হবেঃ ফেনীর ডিসি মো: ওয়াহিদুজজামান

ফেনী রামপুরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার স্বামী আটক

২৩শে সেপ্টেম্বর আঁধার দিবস উপলক্ষে ফেনীতে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের সমাবেশ

চলে গেলেন না ফেরার দেশে গোবিন্দপুরের ব্যবসায়ী শাহিন

ফেনীতে ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক

পরশুরাম ও সোনাগাজীতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা জনপ্রতিনিধিদের বয়কট

ফেনীর ৬ ইউনিটে পৌর যুবদলের কমিটি গঠনের তোড়জোড় চলছে যুবদলের কমিটিতে পদ ভাগিয়ে নিতে ও নিষ্ক্রীয়রাও সক্রিয়

ফেনীতে নিয়োগ বিধি সংশোধন দাবীতে স্বাস্থ্য সহকারীদের স্মারকলিপি