ফেনী শিল্পকলা একাডেমীর কমিটি গঠনে নিজাম হাজারীর হস্তক্ষেপ চাইলেন সাংস্কৃতিক সংগঠকরা
নিজস্ব প্রতিনিধি
নির্বাচিত কমিটির মেয়াদই যেখানে ৩ বছর সেখানে অ্যাডহক কমিটি দিয়েই ১২ বছর পার করেছে ফেনী জেলা শিল্পকলা একাডেমী। অথচ এ অ্যাডহক কমিটিরই কোনো অনুমোদন না থাকলেও জোড়াতালি দিয়েই চলছে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড। এ ব্যাপারে রবিবার জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সদর আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। সাংস্কৃতিক সংগঠকরা জানান, ২০০৮ সালে জেলা শিল্পকলা একাডেমী পরিচালনার জন্য একটি এ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী এ্যাডহক কমিটির মেয়াদ ৬ মাস। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে আর কোন কমিটি গঠন হয়নি। গঠনতন্ত্র বিরোধী হওয়া স্বত্ত্বেও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার নিজেকে এ্যাডহক কমিটির সদস্য সচিব দাবী করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর নির্দেশনা স্বত্ত্বেও কালচারাল অফিসার এ্যাডহক কমিটি কিংবা কার্যকরি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেননি। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড গতিশীল করতে ৩ মাসের অন্তবর্তী সময়ের জন্য এ্যাডহক কমিটি গঠনের দাবী জানান তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে অভিযোগ করেন, সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্যই শিল্পকলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠা। কিন্তু ফেনীতে সাংস্কৃতিক বিকাশের ক্ষেত্রে একাডেমী একেবারেই ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। একাডেমীর কার্যক্রম চলছে সরকারী কিছু ছঁকবাধা নিয়মে। সূত্র জানায়, এ সংক্রান্ত একটি আবেদন শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুজজামানকে দিয়েছেন। আবেদনকারীদের মধ্যে সংলাপ ফেনীর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহিদ হোসেন খসরু, পূবালী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রধান সমন্বয়কারী সমর জিৎ দাস টুটুল, ফেনীর ঢোল সমন্বয়ক বখতেয়ার মুন্না, কিশোর থিয়েটারের নির্বাহী প্রধান বাপ্পি পোদ্দার, জেলা যুবলীগ সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও শিল্পতীর্থ সম্পাদক হুমায়ুন মজুমদার, নজরুল একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, সপ্তদর্শী সংগীতাঙ্গনের পরিচালক দোলন দাস, আদিবাসী কালচারের সভাপতি বেহেলা ত্রিপুরা প্রীতি, চারুকারু স্কুলের প্রধান সমন্বয়কারী সুভাষ সূত্রধর, সংস্কৃতিক কর্মী অ্যাডভোকেট বাদল দেবনাথ, রিভেল মিউজিক ব্র্যান্ডের সভাপতি শিমুল চন্দ্র নাথ, ফেনী জেলা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক সায়েম বিন করিম চৌধুরী, ফেনী নাট্য গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক ডা: ইসহাক চৌধুরী, ব্র্যান্ড সিলেস্টিয়াল সভাপতি বিঙ্গুবণিক, জাতীয় রবিন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি শিখা সেন গুপ্তা, অনির্বান সাংস্কৃতিক পরিষদের সহ-সভাপতি মো: ইকবাল হোসেন জামশেদ, সুর নিকেতন সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক রামকৃষ্ণ বণিক দোলন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি মো: মেহেদী হাসান মাসুম, সঙ্গীত শিক্ষার্থী সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অজয় দাস, দিশারী সংগীত বিদ্যালয়ের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র ভৌমিক, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ সভাপতি সাথী দত্ত, সুরেলা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রধান সমন্বয়কারী এ.আর কুমার, ঐতিহ্য খেলাঘর আসরের সভাপতি খায়েজ আহম্মদ, ব্র্যান্ড ডিস্ট্রেকের ভোকাল ফরহাদ আজিজ, এস.আর.বি এর গ্রুপ লিডার নুরুল আমিন মামুন, সৌম বিদ্যাভূবনের সাধারণ সম্পাদক মৌসুমী সোম, ফেনী ডিবেট মোভম্যান্ডের প্রধান সমন্বয়ক সাইফুদ্দিন শাহীন, সুবচন নাট্য দলের প্রধান সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন সাইমুন প্রমুখ রয়েছেন। তারা বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড গতিশীল করতে হলে নির্বাচন ও নির্বাচিত কমিটির বিকল্প নেই।