ফেনী নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি-রাস্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেনী নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে রাস্তা, ফসলি জমি ও মাছের ঘের। চট্টগ্রামের মিরসরাই অংশে ভাঙনের কবলে পড়তে পারে এশিয়ার সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পনগরের সংযোগ বেড়িবাঁধ, সড়ক ও বৈদ্যুতিক লাইন। ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।জানা গেছে, ফেনীর সোনাগাজী ও চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ের সর্ব উত্তর-পশ্চিম জনপদ দৃষ্টিনন্দন মুহুরী প্রকল্প এলাকার সেচ প্রকল্প নিকটবর্তী ফেনী নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শত শত মৎস্য খামারির মাছের খামার, পাউবো নির্মিত কয়েকটি রাস্তা ও কৃষি জমি চলে গেছে নদী গর্ভে। বর্তমানে মাত্র শত ফুট ভাঙলেই অবশিষ্ট মাছের খামারসহ মুহুরী প্রকল্প টু অর্থনৈতিক জোন বিকল্প সড়ক এবং বৈদ্যুতিক লাইনসহ তলিয়ে যাবে।
নদীগর্ভে সম্পদ হারানো স্থানীয় মৎস্য চাষি নিজাম উদ্দিন জানান, গত এক বছরেই তার দুটি মাছের ঘের, মো. হানিফের তিনটি, সোহেল আহমদের একটি, ইমামুল কবিরের ছয়টিসহ অনেক মানুষের মাছের খামার নদী গর্ভে চলে গেছে।তারা জানান, এখনো দু-একটা অবশিষ্ট খামার আছে বলে কোনো রকমে বেঁচে আছেন তারা।কিন্তু অনেকে এই নদীতে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছেন। এখন বিকল্প বেড়িবাঁধটি রক্ষা না হলে বৈদ্যুতিক লাইনসহ পরবর্তী অনেক অংশ ও চলে যাবে নদী গর্ভে।সোনাগাজী এলাকার মৎস্য চাষি মো. লিটন জানান, এভাবে অগণিত ক্ষতিগ্রস্তরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ধর্ণা দিয়েও কিছুই হচ্ছে না, তাই আমরা হতাশা আর উদ্বিগ্নতায় দিনাতিপাত করছি।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেছি নদীর ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। নদী শাসন থেকে প্রধানত নদীর মূল স্রোতটি ডাইভারশান করে কেটে দিলেই রক্ষা সম্ভব সবকিছু।
তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো প্রকৌশলীদের এ বিষয়ে কার্যকর ভূমিকার জন্য বারবার অনুরোধ করেছেন বলে জানান। এ বিষয়ে পাউবোর চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ভাঙনস্থল পরিদর্শনে শিগগিরই একটি টিম পাঠানো হবে এবং কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।