prothombd247
Tuesday , 29 December 2020 | [bangla_date]
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. খাদ্য
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চিত্র বিচিত্র
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন
  12. প্রবাস
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. ব্যবসা
  15. ভ্রমণ
 

ফেনীর মধুপুরে হতদরিদ্র বৃদ্ধ প্রতিবন্ধির বাড়ী জবর দখল

ফেনীর মধুপুরে হতদরিদ্র বৃদ্ধ প্রতিবন্ধির বাড়ী জবর দখল
নিজস্ব প্রতিনিধি

ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব মধুপুর গ্রামের আনসার আলী হাজী বাড়ীতে মাওলানা আবদুল আজিজ ওরফে আব্দুল্লা হুজুর (৭০) নামের এক অসহায় হতদরিদ্র বৃদ্ধ প্রতিবন্ধির বাড়ী জবর দখল করে নিল প্রতিবেশি ভূমিদস্যু মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে কবির আহম্মদ ও তার ছেলে জাহাঙ্গির আলম, মোখলেসুর রহমান ও তার ছেলে জামাল উদ্দিন এবং আব্দুল গোফরান। ভূমিদস্যু কবির আহম্মদ, মোখলেসুর রহমান ও আব্দুল গোফরান এরা তিনজনই একই ঠিকানার মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে। আবার এদিকে এ ভুক্তভোগী আব্দুল্লা হুজুরও একই ঠিকানার মৃত নজির আহম্মদের ছেলে এবং সে জন্ম প্রতিবন্ধি ও অত্যন্ত অসহায় হত দরিদ্র। তাছাড়া সে ৫ সন্তানের জনক, কিন্তু তার কোন উপযুক্ত পুত্র সন্তান নেই। অসহায়ত্বের এ সুযোগেই ভূমিদস্যুরা তার বসত ঘরের দরজা বরাবর পাকা দেয়াল দিয়ে জবর দখল করে নিল তার বাড়ীর পুরো উঠান (আঙিনা)। সে মধ্যম চাড়ীপুর ভূঞা বাড়ী জামে মসজিদে স্বল্প বেতনে মোয়জ্জিনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
জানাগেছে, গত ২৭ নভেম্বর তারিখে(শুক্রবার) আব্দুল্লা হুজুরের এক ভগ্নিপতি মৃত্যুবরণ করার ঘটনায় তার পুরো পরিবার ঘরে তালা লাগিয়ে ওই মৃত ভগ্নিপতির বাড়িতে মৃতের লাশ দাফন করার উদ্দেশ্যে গমন করে। এ সুযোগে এ ভূমিদস্যুরা ইট, বালি, সিমেন্ট এনে প্রতিবন্ধি আব্দুল্লা হুজুরের ঘরের দরজা বরাবর পাকা দেয়াল নির্মাণ করে তার বাড়ীর পুরো উঠান(আঙিনা) পাকা দেয়াল দিয়ে ঘিরে ফেলে। এতে অসহায় আব্দুল্লা হুজুর একরকম অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এবং তার ঘর থেকে বের হওয়ার জন্য মাত্র ১ হাত পরিমান জায়গা ফাঁকা থাকে। এ অমানবিক ঘটনায় পূর্ব মধুপুর গ্রামের মানুষ হতবাক হয়ে খবরটি ভাইরাল হওয়া সহ আলোড়ন সৃষ্টি করলে স্থানীয় ফেনী পৌরসভার কাউন্সিলর আবু ইউসুফ ভূঞা বাদল সহ শালিসদারেরা এসে বিতর্কিত দেয়াল নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেয় এবং ১ জানুয়ারী ২০২১ তারিখে এ বিষয়ে শালিসের দিনক্ষন ধার্য করে দেয়। একপর্যায়ে ভূক্তভোগীদের পক্ষথেকে ফেনী পৌরসভার মেয়রের বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর আবু ইউসুফ ভূঞা বাদল, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মঞ্জু রাণী দেবী, শালিসদার শহিদ, শালিসদার সোহেল ভূঞা, ওই বাড়ীর মৃত আনসার আলীর ছেলে খায়েজ আহম্মদ, প্রতিবন্ধি আব্দুল্লা হুজুর, মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মোঃ সেলিম ও মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে আব্দুল গোফরানের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনার মূল হোতা কবির আহম্মদ ও তার ছেলে জাহাঙ্গিরের সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভূক্তভোগী ও অত্যাচারী উভয় পক্ষই একে অপরের চাচাতো-জেঠাতো ভাই হয়। এদের মূল মৌরশ পূর্বপুরুষ হাজী আনসার আলীর চার পুত্র সন্তান যথাক্রমে-সুলতান আহম্মদ, নাজির আহম্মদ, খায়েজ আহম্মদ ও রুহুল আমিন। এদের মধ্যে খায়েজ আহম্মদ ছাড়া অন্য তিনজনই মারা গেছে। জানাগেছে মৃত সুলতান আহম্মদের ওয়ারিশেরা অন্য তিনজনের ওয়ারিশদের জমিজমা আত্মসাতে বিগত বহুবছর যাবত মেতে আছে। এরা কিছু জাল কাগজ পত্র ও দলিল সৃজন করে এসব করে আসছে। এরা দাবী করে আসছে এদের দাদী তাদের হেবা দলিল মূলে কিছু সম্পত্তি লিখে দিয়েছেন। এ বিষয়ে কাউন্সিলর বাদল ভূঞা সহ অভিজ্ঞরা জানালেন, এ দলিলের শেষ লাইনের কথা মোতাবেক দলিলের কোন অস্তিত্ব থাকেনা। দলিলের শেষ লাইনে দলিলের সমুদয় সম্পত্তি দলিল দাত্রীর সকল ওয়ারিশদের মধ্যে সমহারে বন্টনের কথা বলা আছে। এতে এ দলিল নিয়ে ভূমিদস্যুদের এত উৎপাত মোটেই কাম্য নহে। তা সত্বেও এরা প্রতিবন্ধি আব্দুল্লা হুজুরের জায়গা দখল করে অত্যাচার করেছে। এদিকে মোখলেসুর রহমানের পাশের দাগে তার ছেলে জামাল উদ্দিন ১ শতক জায়গা বিগত বহু বছর যাবত জবরদখল করে আছে বলে মোঃ সেলিম জানালেন। এভাবেই মৃত সুলতান আহম্মদের ওয়ারিশদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে আসছে পুরো আনসার আলী হাজীর বংশধরেরা ।

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত