ফেনীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হলো দূর্গোৎসব
ফেনী প্রতিনিধি
প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে ফেনীতে অন্যান্য বছরের মতো এ বছর আয়োজন ছিল না। তবু সোমবার উলুধ্বনি দিয়ে পানিতে ভাসানো হলো প্রতিমা। বিসর্জনের সময় আনন্দের পাশাপাশি ভক্তদের মধ্যে বিষাদের ছাপও ছিল। এসময় করোনা মহামারী থেকে মুক্তি চেয়ে দেবীদূর্গার কাছে প্রার্থনা করেন তারা।
সোমবার ছিল বিজয়া দশমী। শহরের কালিপালে দশমি ঘাটে প্যান্ডেল তৈরি হলেও এবার শোভাযাত্রা হয়নি। বিকাল ৩টা থেকে জেলা শহর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে একে একে প্রতিমা বোঝাই ট্রাক আসতে থাকে। আর ওই সব প্রতিমা ধর্মীয় রীতি মেনে দশমি ঘাটে দেয়া হয় বিসর্জন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় শারদীয় দূর্গোৎসব।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে প্রতিমা বিসর্জনের পূর্বে দশমীঘাটে বিজয়ার শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান। পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি রাজীব খগেশ দত্তের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বি.কম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন ও ফেনী মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন। এসময় জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী সেলিনা আক্তার, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ফখরুল ইসলাম প্রমুখ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সদস্য, জেলা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, আগামীতে কালিপালে দশমীঘাটে বিসর্জনের স্থান আরো বৃদ্ধি করা হবে। যাতে আরো বড় পরিসরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতিমা বিসর্জন দিতে পারে। তিনি বলেন, জাতি-ধর্ম ও ভেদাভেদ ভুলে সবাই দূর্গাপূজায় আনন্দ করেছে। সরকারি বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতায় নিরাপদে-নির্বিঘে জেলাব্যাপী পূজা সম্পন্ন হওয়ায় তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল জানান, কালিপালে দশমি ঘাটে ৩০টির অধিক মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। করোনার কারণে উৎসবের অংশ বাদ দেয়া হলেও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ফলে ভিন্ন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাতৃদেবীর আরাধনা করা হয়েছে। আমরা সনাতন ধর্মালাম্বীরা বিশ্বাস করি এবার মা দূর্গা পৃথিবী থেকে করোনা নামক ভাইরাস উঠিয়ে নিয়ে যাবেন। এতে বিশ্ববাসীর মাঝে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে আসবে।