ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে ছাত্রলীগের মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
নিজস্ব প্রতিনিধি,
ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সবাই সরব হয়েছে। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার ফেনী জেলা ছাত্রলীগ। সারাদেশে ধর্ষণ, নিপীড়নসহ নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতার স্থায়ী অবসানের দাবীতে ফেনী জেলা ছাত্রলীগ গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে মোমবাতি দিয়ে আলোক প্রজ্বলন করে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম সালাহ উদ্দিন ফিরোজের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ আবদুর শুক্কুর মানিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ হায়দার জর্জ।
এ কর্মসূচিতে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জিয়া উদ্দিন বাবলু, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত রাজু, সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আকবর অভি, ফেনী সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমদ তপু, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রবিনসহ বিভিন্ন ইউনিটের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
জাবেদ হায়দার জর্জ বলেন, ধর্ষণকারী যেই হোক সে একজন ধর্ষক। এটাই তার পরিচয়। তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড বাস্তবায়ন করতে হবে। শেখ হাসিনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই। নোয়াখালীতে যে ঘটনা ঘটেছে ওই ঘটনায় ২৪ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশে অপরাধীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে। এছাড়াও সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কুষ্টিয়ার ঘটনায়ও অতি অল্পসময়ের মধ্যে আসামীদের ধরতে সক্ষম হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার ধর্ষকদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। সে বাংলাদেশ এখন আর নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা উন্নত বাংলাদেশে বাস করছি। এ সরকারের আমলে প্রতিটি অপরাধের বিচার হচ্ছে। অপরাধী যে হোক না কেন তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এম সালাহ উদ্দিন ফিরোজ বলেন, ফেনীতে মা-বোনেরা নিরাপদে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারছে, তাদের কর্মনির্বাহ করা, বিদ্যালয়-মহাবিদ্যালয়ে চলাচলে যেন কোন অসুবিধা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে জেলা ছাত্রলীগ সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। যারা এসব অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে তাদের আইনের হাত থেকে বাঁচাতে আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর তকমা লাগাতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ভিপি নুুরের হাতে আমার বোন নারী-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এই হীন কাজের প্রতি জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং নুরের শাস্তির দাবি জানাই।
এদিকে দেশে এখন ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলছে। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও এই বর্বর ঘটনা ঘটছে। এই বর্বরতা থামাতে নৈতিক অবক্ষয় ঠেকানোর পাশাপাশি এখনই সবাইকে সর্বত্র সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।