দাগনভূঞায় সব কিছু স্বাভাবিক, কোথাও যেন করোনা নেই
ফেনী প্রতিনিধি
সর্বশেষ আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২০ ৯:১৬: অপরাহ্ণ
ফেনীর দাগনভূঞায় জীবনযাত্রা এবং সার্বিক পরিবেশ এখন বেশ স্বাভাবিক। প্রাণঘাতী ভাইরাস ‘কোভিড-১৯’ নামে কিছু একটা যে আছে তা আর আলাদা করে প্রভাব ফেলছে না জনমনে।
ভাবনাটা এমন, তারা হয়তো আক্রান্ত হয়েছেন অথবা হবেন। এটা নিয়ে আলাদা করে চিন্তার কী আছে! মার্চের শুরুর দিকে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পর সতর্কতা অবলম্বন করার যে প্রবণতা দেখা গিয়েছিল তা আর নেই। সময়ের পরিক্রমায় অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে খুলে দেওয়া হয়েছে শপিং মল, রেস্তোরাঁ, হোটেল। চলতে শুরু করেছে গণপরিবহনসহ সাধারণ যানবাহন আগের মতো ব্যস্ত হয়ে উঠেছে দাগনভূঞা বজার সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার। দাগনভূঞার বিভিন্ন সড়ক, ফুটপাত গুলোতে দেখা যায় সেই চিরচেনা ভিড়।
একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়ার জন্য বাস, সিএনজি, অটোরিক্সার জন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের দেখা যায়
গণপরিবহন ও সিএনজিগুলোতে যে শারীরিক দূরত্ব মানার কথা ছিল সেটাও যেন এখন মরীচিকা। বাজার, শপিং মল, দোকানপাট, হসপিটালগুলোতে এখন আর দেখা যায় না স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মানার প্রবণতা। হোটেল, রেস্তোরাঁগুলোর অবস্থাও একই।
গেটের বাইরে ন্যূনতম হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা জীবাণুনাশকও এখন আর প্রয়োগ হচ্ছে না অনেক স্থানেই।
টং দোকানগুলো আবারও সেই আগের মতো ঝড় উঠছে চায়ের কাপে। কেন এমনটা হচ্ছে, তা জানতে কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, করোনাকে নিয়েই যে জীবনের চাকা চালিয়ে যেতে হবে সেটা তারা একরকম বুঝে গেছেন। আর তাই সেভাবেই নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন।
শারীরিক দূরত্ব নেই কিন্তু আছে ঝুঁকি তবুও কেন হাঁটছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এক পথচারী বলেন, এভাবেই এখন থেকে চলতে হবে কাজ তো করতে হবে।
মাস্ক আছে আগে তো পরতাম অনেক সময়। এখন তাও পরি না। এই করোনা নিয়েই চলতে হবে। বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় কেউ কেউ হ্যান্ডশেকও করছেন। কিছুদিন পর দেখবেন মানুষ কোলাকুলিও করতেছে। আমরা চারপাশ থেকে এটাই শুনছি যে, আমাদের এর মাঝেই থাকতে হবে। হয়তো করোনা আমাদের কারও কারও হয়ে গেছে আমরা হয়তো অনেকে জানিও না। যদি না হয়ে থাকে তবে হবে। উপজেলা স্থানীয় লোকজন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, শুধু করোনা না, কোনো রোগের জন্যই আমাদের উপজেলায় বেসরকারী চিকিৎসা ব্যবস্থা আমার মতো মধ্যবিত্তদের জন্য ভালো কিছু রাখেনি।
উপজেলার একটি রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী বলেন, করোনার ঠিক আগে আগে রেস্টুরেন্ট চালু করেছিলাম। করোনার কারণে এতদিন সব বন্ধ ছিল। এখন চালু করেছি রাত ১০টা পর্যন্ত লোকজন আসেন চা নাস্তা খেতে।
রেস্টুরেন্ট চালু করার আগে চিন্তায় ছিলাম। এখন আর সেভাবে চিন্তা হচ্ছে না। মানুষ এখন আবার তাদের নিয়মিত জীবনে ফিরে যাচ্ছে। সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে আসছে। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত দাগনভূঞা উপজেলা করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছে ৩৪৩ জন। মৃত্যু বরণ করেছে ৮ জন।