তারা নিবাসের এমডি মোশারফ’র বিরুদ্ধে ৮৫ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগে ফেনীর আদালতে মামলা
নিজস্ব প্রতিনিধি
ফেনী সড়ক শহরস্থ তারা নিবাস সিটি কমপ্লেক্স এর ডেভলপার প্রিয় নিবাস হোল্ডিং লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া’র নামে ৮৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার প্রতারণা প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
গতকাল ২৩ নভেম্বর ২০২০ সোমবার ফেনী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার বোনদ্বয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে প্রিয় নিবাস হোল্ডিং লিমিটেড’র ফেনী প্রকল্প “তারা নিবাস সিটি কমপ্লেক্সের” সপ্তম তলার একটি ফ্ল্যাট খরিদ করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন । তার পরিপ্রেক্ষিতে মোশারফ হোসেনের পরোচনায় তার দুই বোনের নামে আরও দুটি ফ্ল্যাট বুকিং করেন । ৩টি ফ্ল্যাটের বুকিং মানি বাবদ ৩০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। প্রিয় নিবাস বিল্ডার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান হঠাৎ মৃত্যুর পর ফেনীর প্রকল্প তারা নিবাস সিটি কমপ্লেক্সের নানা অনিয়মের অভিযোগে ও ফেনী পৌরসভার প্লান বহির্ভূত কাজের কারণে দীর্ঘ দুই বছর যাবত বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয়।
পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক বৃন্দ একত্রিত হয়ে সমিতি করে ডেভলপার কোম্পানি ও ল্যান্ড অনার সাথে সমন্বয় করে স্ব-স্ব ফ্ল্যাটের দলিলাদি সহ অন্যান্য ডকুমেন্ট বুঝে নেয়। একই নিয়মে কোম্পানির এমডি মোশারফ হোসেন কর্তৃক আব্দুল্লাহ আল মামুন গংদের সপ্তম তলার ই ও এক্স এবং ষষ্ঠ তলার ই দলিল সম্পাদন করেন।
কিন্তু অধিক মুনাফা লোভী মোশারফ হোসেন উল্লেখিত ফ্ল্যাটের অধিক মুনাফার লোভে অন্যত্রে বিক্রি করার গুঞ্জন শুনতে পাওয়ায় ভুক্তভোগীরা তাদের বাকি টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি করার জন্য তাগাদা দিলে নানা তালবাহানার শিকার হয়।
পরবর্তীতে ফেনী সদর থানায় অভিযোগের মাধ্যমে মিলিত হলে এককালীন ৫৫ লক্ষ টাকা একসাথে দেয়ার সমঝোতার ভিত্তিতে পরিশোধ করলেও এখনো ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি করে দেয়নি কোম্পানির এমডি মোশাররফ হোসেন। বরং টাকা ও ফ্লাট দেয়ার কথা অস্বীকার করে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ ও হত্যাসহ লাশ গুম করার হুমকিতে মানসিক ও অর্থনৈতিকসহ সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে এর প্রতিকার চেয়ে ফেনী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন গং।
শুধু তাই নয় তিনি মামলায় আরো উল্লেখ করেন মোশাররফ’র বিরুদ্ধে ফেনীসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গার প্রায় অর্ধ শতাধিক লোকের সাথে এমন প্রতারণা করায় বিভিন্ন থানার অভিযোগ ও আদালতের মামলার নাম্বার তিনি তার আর্জিতে উল্লেখ করেন।
