prothombd247
Wednesday , 20 December 2023 | [bangla_date]
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আইন আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. খাদ্য
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. চিত্র বিচিত্র
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন
  12. প্রবাস
  13. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  14. ব্যবসা
  15. ভ্রমণ
 

গবেষক রানার সাথে আলাপকালে নোয়াখালীর দুই মুক্তিযোদ্ধা তৃণমূল পর্যায়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা খোদাই করে রাখতে হবে

গবেষক রানার সাথে আলাপকালে নোয়াখালীর দুই মুক্তিযোদ্ধা
তৃণমূল পর্যায়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের
তালিকা খোদাই করে রাখতে হবে
ফজলুল হক ভূইয়া রানা:
“মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হচ্ছে আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া বীর যোদ্ধাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয় না। অন্যদিকে স্বাধীনতা বিরোধী এবং তাদের উত্তরসূরীরা নানা কৌশলে নিজেদের অবস্থানকে সংহত করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছে। স্বাধীনতার প্রায় পাঁচ দশকেও স্বাধীনতা বিরোধীদের অবস্থানের হেরফের হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিকভাবে ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধীদের চিহ্নিত করা এখন সময়ের দাবি।”
কথাগুলো বলছিলেন নোয়াখালীর দুই বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান ও সৈয়দ আবুল হোসেন বাঙালী। এর মধ্যে বেগমগঞ্জের করিমপুর গ্রাম নিবাসী মৃত আবদুস সোবহানের ছেলে আবদুল মান্নান যুদ্ধকালীন বিএলএফ থানা কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। অন্যদিকে বেগমগঞ্জের গণিপুর গ্রাম নিবাসী মৃত সৈয়দ ইউনুছ মিয়ার ছেলে সৈয়দ আবুল হোসেন বাঙালী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপজেলা ইউনিট কমান্ডার।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধে নোয়াখালীবাসীর অনন্য ভূমিকা ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদান ইতিহাসের পাতায় গৌরবের অধ্যায় হিসেবে চিরদিন অম্লান হয়ে থাকবে। কেননা, ’৭১-এর ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরাঞ্চলে গণহত্যা শুরু করলেও বৃহত্তর নোয়াখালীর সমগ্র এলাকা ছিল পাক হানাদার মুক্ত। এখানে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের পতাকা উড়েছিল এবং এখানকার প্রশাসন নোয়াখালীর কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। মার্চের শুরুতেই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল হক। ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে পাকবাহিনী নোয়াখালী সদর উপজেলায় প্রবেশ করে। নোয়াখালী জেলা একজন বীর শ্রেষ্ঠর পূণ্য জন্মভূমি। মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান “বীরশ্রেষ্ঠ” উপাধিতে ভূষিত করা হয় তাদের অন্যতম মোহাম্মদ রুহুল আমিন ১৯৩৫ সালে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার বাঘপাঁচড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। যুদ্ধকালে নোয়াখালী ছিল ২নং সেক্টরের অধীনে। ২নং সেক্টরের প্রধান ছিলেন মেজর খালেদ মোশারেফ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) এবং মেজর এটিএম হায়দার (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর)। বেশ কয়েকটি আলোচিত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর নোয়াখালী হানাদারমুক্ত হয়।
শুরুতে দুই বীর যোদ্ধা একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী ময়দানের ভাষণের পর দেশব্যাপী মুক্তিকামী জনতা স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। নোয়াখালীতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক নূরুল হক, সাবেক এমপি মোস্তাফিজ, সাবেক এম.পি মাহমুদুর রহমান বেলায়েত, এডভোকেট মমিন উল্যা, মো. শাহজাহান, খিজির হায়াত, শফিক, সাখায়েত উল্যা, নিজামউদ্দিন, ফারুক, মিয়া মো. শাহজাহান প্রমুখ। তাদের নেতৃত্বেই চলে যুদ্ধের প্রস্তুতি। ২২ এপ্রিল হানাদার বাহিনী আক্রমণ করলে মুক্তিকামী বিভিন্ন শেনীপেশার মানুষ প্রশিক্ষণ নিতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত চলে যান। এর মধ্যে আবদুল মান্নান ভারতের দেরাদুনে বিএলএফ প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ নেন। ওই ব্যাচে তিন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে বৃহত্তর নোয়াখালীর ১৫ জন ছিলেন। অন্যদিকে সৈয়দ আবুল হোসেন বাঙালী আসামের লোহার বন ক্যাম্পে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেন।
আলাপচারিতায় রণাঙ্গনের দুই বীর যোদ্ধা আক্ষেপ করে বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে স্বাধীনতার পাঁচ দশকেও এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সম্পন্ন হয়নি। তাদের মতে, ভারতীয় তালিকা এবং মুক্তিবার্তার ভিত্তিতে মাঠপর্যায়ে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেওয়া স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সঠিক তালিকা প্রণয়ন সম্ভব। পাশাপাশি স্বাধীনতা বিরোধী ও পাক হানাদার বাহিনীর এ দেশীয় সহযোগী রাজাকার-আলবদর-আল শামস সদস্যদের তালিকা দ্রুততার সাথে করতে হবে। নতুন প্রজন্ম যাতে জানতে পারে, এ জন্য তৃণমূল পর্যায়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা করে তা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে খোদাই করে রাখতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণী বিন্যাসের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, কূটনৈতিক, শিল্পী, খেলোয়াড়সহ বিভিন্ন পেশাজীবী স্ব স্ব অবস্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা। এমনকি যারা খাদ্য বা আশ্রয় দিয়ে কিংবা অন্যভাবে সহায়তা করেছে তাদেরও মূল্যায়ন করতে হবে। সকলকে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত করা উচিত।
তাঁরা বলেন, স্বাধীনতা রক্ষার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মের। কাজেই স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে হবে। এ জন্য পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সন্নিবেশিত করা ছাড়াও শিক্ষার্থীদের সেটি আত্মস্থ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন উৎসবে মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং রচনা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করতে হবে।
তাঁরা বলেন, সব জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স কিংবা ভাস্কর্য একই ডিজাইনের হওয়া উচিত। যাতে করে মানুষ সহজেই চিনতে এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার সঙ্গে চিকিৎসাভাতা প্রদানেরও দাবি জানান।
তাঁদের দেয়া তথ্য মতে, নোয়াখালীতে তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ১৮শ’ জন। এর মধ্যে ভাতা পাচ্ছেন ১৩৯০ জন। নোয়াখালীতে পাঁচটি বধ্যভূমি একনো পুরোপুরি সংস্কার হয়নি।

সর্বশেষ - অন্যান্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

ফেনী মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় রাস্তায় হারানো ৬ লক্ষ টাকা উদ্ধার

ফেনীতে নিয়োগ বিধি সংশোধন দাবীতে স্বাস্থ্য সহকারীদের স্মারকলিপি

১৬ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

ফেনী শহরের বিরিঞ্চি এলাকায় ফারজানা খুনের মামলায় স্বামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

ফেনীতে ১০ হাজার ইয়াবাসহ একজন আটক

প্রতিদিন সকালে সেদ্ধ ডিম খেলে যে উপকার পাবেন

প্রতিদিন সকালে সেদ্ধ ডিম খেলে যে উপকার পাবেন

ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ প্রাঙ্গনে তালবীজ চারা রোপণ

জেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনের নব-নির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র ম্যুরাল উদ্বোধন

ফেনীতে পৌর নির্বাচন সব ওয়ার্ডে আ’লীগ সমর্থিত কাউন্সিলররা জয়ী

ফেনীতে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী করেন জেলা ছাত্র এসোসিয়েশন