অনাহূত কবিতারা
আত্মহনন কোরোনা তোমরা
ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে,
পুঁজিবাদের চক্রে পড়ে
ছুটছে মানুষ হন্যে হয়ে-
ভালোবাসা আজ দুর্লভ বড়
এই দুনিয়াজুড়ে।
বোধের বৃত্ত ছেড়েছে মানুষ
নির্বোধ গ্রাসে হয়েছে ফানুস,
কটাদিন পরে ফিরবে সে ঘরে
আঁধার ঘুচবে আলোর মিছিলে।
আলো পাবে কোথা তোমাদের ছাড়া?
দুঃখের সাগরে চলছে মহড়া
যুদ্ধশেষে রিক্ত হাতে,
শান্তির খোঁজে ক্লান্ত বেশে
আশ্রিত হবে কবিতার দেশে।
আবৃত্তি শিল্পীর ভালবাসায়
সারাক্ষণ মুখরিত থাকতে,
স্কুল কলেজে ছাত্র শিক্ষকের
প্রাণ চর্চায় চর্চিত হতে,
কত কবিহৃদয়ের গহীন তলে
ভালবাসা দিয়ে নন্দিত হতে,
প্রেমিক প্রেমিকার সন্ধি হয়ে
হৃদয়ে হৃদয়ে ঘুরে বেড়াতে,
প্রতিবাদের হাতিয়ার হয়ে
রুখে দিয়েছো স্বৈরাচারে।
বাড়িঘর ছেড়ে ভালোবাসা পেয়ে
কত যে মানুষ খেয়ে না খেয়ে,
টিএসসি আর শাহবাগ জুড়ে
রক্ত আগুনে মন্ত্র শিখেছে,
প্রতিবাদ করে মরতে শিখেছে
তোমাদের হাত ধরে।
তোমাদের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে
বিশ্বসেরা হয়েছে বাংলার কবি
যাওনি ভুলে, যেতে পারো না-
গীতাঞ্জলির অনুপ্রেরণা
তোমরা দিয়েছো ভান্ডার ভরি
আঁচলে নিয়েছে কবি কান্ডারী
আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ভালোবাসি
আঁধারী দুয়ারে প্রদ্বীপ জ্বেলেছে
বাংলা মায়ের রবি।
আসতেই হবে আবারো ফিরে
ভালোবাসা আছে তোমাদের ভিঁড়ে,
পড়বে পাঠক নতুন করে
ভালবাসাহীন ছুটাছুটি শেষে,
নীড়হারা পাখি ফিরবে নীড়ে।
অর্থ লোভে সুখের মোহে
ছুটছে যারা হন্যে হয়ে,
সহসা তাদের ঘোর কেটে যাবে
আত্মার সুখ প্রয়োজন হবে,
ভালোবাসা আর শান্তির খোঁজে
ফিরবে পথিক, ফিরতেই হবে
সুখ পেতে হাত বাড়াতেই হবে,
কবিতার দ্বারে দ্বারে।